রূপগঞ্জে আন্ডা রফিকসহ ১৭ জনের নামে মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক, নারায়ণগঞ্জ: রূপগঞ্জে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবলীগ কর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় পৃথক দুইটি মামলা হয়েছে। নিহত যুবলীগ কর্মী সুমনের পরিবারের পক্ষ থেকে কায়েতপাড়া ইউনিয়র পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিক ও ওরফে আন্ডা রফিকসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ২০/২৫ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সুমন মিয়ার শ্বাশুড়ি কাজল রেখা বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে রুপগঞ্জ থানায় এ মামলা দায়ের করেন। অন্যদিকে পুলিশের উপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগে একই রাতেই রূপগঞ্জ থানা পুলিশ পৃথক একটি মামলা করেছে। এস আই হুমায়ুন বাদি হয়ে ৩৮ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত ২ হাজার জনকে আসামী করে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রুপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: ইসমাইল হোসেন।
পুলিশের মামলায় কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ওরফে আন্ডা রফিককে হুকুমের আসামী করা হয়েছে। এছাড়া রফিকের ছোট ভাই শফিকুল ইসলাম, আউয়াল, মাছুম চৌধুরি অপু, সালাউদ্দিন, বায়োজিদ, নবী হোসেন, রনি, দুলাল, হানিফাসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ২০/২৫ জনকে আসামী করা হয়েছে।
নিহত যুবলীগ কর্মী সুমনের পরিবারের মামলার এজাহারে বাদি উল্লেখ করেন, উল্লেখিত আসামীরা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের নির্দেশে সুমন মিয়াকে মারধর ও এলোপাতাড়ি গুলি করে হত্যা করেছে।
জেলা পুলিশের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করেছে। এজাহারভুক্ত এক আসামী বায়েজিতকে পুুলিশ গ্রেফতার করেছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারী খালেদা জিয়ার দুনীর্তির মামলার রায়েকে কেন্দ্র করে বিএনপি জামায়াতের নাশকতা ঠেকাতে গিয়ে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের আধিপত্য বিস্তার ও একই স্থানে অবস্থান নেয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পুলিশ ছত্রভঙ্গ করতে গিয়ে রাবার বুলেট, টিয়ারসেল, ও সটগানের গুলি ছোড়ে। সুমনসহ ৫জন গুলিবিদ্ধ এবং ২০ জন আহত হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যুবলীগ কর্মী সুমন মিয়ার মৃত্যু হয়।